সোমবার (২৯ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
খুচরা মোবাইল সেবা সংশ্লিষ্ট বাজারে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন মোবাইল অপারেটরদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে গ্রামীণফোনসহ গত ২১ জুন সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে চিঠি পাঠায় কমিশন।
নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে এক অপারেটরে অন্য অপারেটরের সেবা লকিং পিরিয়ড ৯০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন হবে, যা ১ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে।
চিঠিতে বলা হয়, এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোন বিটিআরসির অনুমোদন ব্যতীত কোনো প্রকার সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার প্রদান করতে পারবে না। এমনকি সার্ভিস/প্যাকেজ/অফারের পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমোদন নিতে হবে।
গ্রামীণফোনের বর্তমানে প্রচলিত সব ধরনের সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার চালু রাখার ক্ষেত্রে পুনরায় কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। নতুন সার্ভিস/প্যাকেজ/অফারের ক্ষেত্রে বিষয়টি আগামী ১ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে। পুরাতন বা চলমান সব সার্ভিস/প্যাকেজ/অফার ৩১ আগস্টের মধ্যে কমিশনে পুনরায় অনুমোদন নিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী হিসেবে গ্রামীণফোনের ভয়েস ট্যারিফ সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা আপাতত দেওয়া হলো না। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট চলমান সংকট পরিস্থিতে কমিশন এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তবে পরবর্তীসময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিটিআরসি চিঠিতে জানায়, গ্রামীণফোন যখন টার্মিনিটিং অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে তখন অরিজেনিটেং অপারেটররা (এসইমপি নয়) থেকে ১০ পয়সা মিনিটের পরিবর্তে ৫ পয়সা পাবে/গ্রহণ করবে তা আরও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে যাচাই-বাছাই করে কমিশন অনতিবিলম্বে জারি করবে।
২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) বা তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এসএমপি ঘোষণার ফলে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিটিআরসি। এতে অপারেটরটির করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
ইএস/এএ