বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খান রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানা পু্লেিশর উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদ্লু আলম আসামি মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি সোবহানবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৭ জুলাই ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে তিনদিনের জন্য রিমান্ডে পাঠান অপর একটি আদালত। আব্দুস সালাম এজাহারভুক্ত আসামি নন। তাকে এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। তাই এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে সোয়াদই প্রথম গ্রেফতার হন।
এর আগে গত ২৯ জুন সকালে শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ মর্নিং বার্ড মুহূর্তেই ডুবে যায়। এতে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর এ ঘটনায় গত ৩০ জুন দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম।
মামলার আসামিরা হলেন, ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।
এ ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায় পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিং বার্ডকে মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়।
** বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: প্রধান আসামি ময়ূরের মালিক গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
কেআই/ওএইচ/