ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সদরঘাটে লঞ্চডুবি: ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২০
সদরঘাটে লঞ্চডুবি: ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার কারাগারে সেই ঘটনায় উদ্ধার করা মরদেহ | ফাইল ছবি

ঢাকা: সদরঘাটে মর্নিংবার্ড লঞ্চ ডুবিতে ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে রিমান্ড শেষে কারগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ জুলাই সালামকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন অপর একটি আদালত।

তবে সেই রিমান্ডের একদিন যেতেই তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আব্দুস সালাম এজাহারভুক্ত আসামি নন। তাকে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বুড়িগঙ্গায় ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চডুবির ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।

বুধবার (০৮ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি সোবহানবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এমএল মর্নিং বার্ড নামের ওই যাত্রীবাহী লঞ্চটি গত ২৯ জুন সকালে সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।

প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় এখনো পর্যন্ত এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হননি। মামলাটি তদন্ত করছেন নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম।

এই ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায় পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।