রোববার (১২ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করন আদালত।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত বুধবার (৮ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি সোবহানবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার ময়ূর-২ লঞ্চ এর সুপারভাইজর আব্দুস সালামকে তিনদিনের জন্য রিমান্ড শেষে গত ৯ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়।
তাই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে সোয়াদই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন।
এমএল মর্নিং বার্ড নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গত ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায় পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিং বার্ড মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
কেআই/এএ