বুধবার (১৫ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম এ রিমান্ডের আদেশ দেন। আসামিরা হলেন-শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন।
এরআগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে নৌ-পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট। এরপর বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহজালাল চুন্নু রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে, মামলার প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে গত ১৪ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার ময়ুর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে তিনদিনের জন্য রিমান্ড শেষে গত ৯ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়।
আরেক এজাহারভুক্ত আসামি ময়ূর ২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশারকে গত ১৩ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এমএল মর্নিং বার্ড নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানি হারায়।
এ ঘটনায় গত ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেন নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
কেআই/ওএইচ