বুধবার (১৫ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরআগে ৯ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।
এরপর সোয়াদের পক্ষে আইনজীবী সুলতান নাসের ভার্চ্যুয়াল আদালতে জামিন আবেদন করেন। বুধবার সেই জামিন আবেদনের শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ জুলাই দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি সোবহানবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে গত ৯ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার ময়ুর-২ লঞ্চ এর সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে তিনদিনের জন্য রিমান্ড শেষে গত ৯ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া এজাহারভূক্ত আরেক আসামি ময়ূর ২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশারকে গত ১৩ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
এমএল মর্নিং বার্ড নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানি হারায়।
এ ঘটনায় গত ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেন নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
কেআই/ওএইচ/