ঢাকা: জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলী এবং তার স্ত্রী সেলিনা আলী আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
পরোয়ানার প্রেক্ষিতে এদিন আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা।
তাদের পক্ষে জামিন শুনানিতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী শাহ আলম বলেন, বাদীর সঙ্গে জাল জালিয়াতি বা প্রতারণার কোন ঘটনা ঘটেনি। এটি একটি খাস জমি। আসামি এটি বরাদ্দ নিয়ে ভবন তৈরি করেছেন। নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা থাকায় আসামি হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন এবং এটি এখনও চলমান রয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়া মাত্রই তিনি বাদীকে তার ফ্ল্যাটের নিবন্ধন করে দেবেন। উচ্চ আদালতে চলমান মামলাটি নিষ্পন্ন না হওয়ার কারণে আসামি এখনই ফ্ল্যাটটি নিবন্ধন করে দিতে পারছেন না।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুকুর রহমান আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নূর আলী এবং তার স্ত্রী সেলিনা আলীর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সমনের প্রেক্ষিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার পরীবাগে নূর আলীর বোরাক রিয়েল এস্টেটের বানানো ইউনিক হাইটসের একটি ফ্ল্যাট কিনেন জালাল আহমেদ স্পিনিং মিল ও শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ। ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ২ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা নেন আসামিরা। ২০১৫ সালে ফ্ল্যাট কিনলেও রেজিস্ট্রেশন করে না দেওয়ায় ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি পিবিআই তদন্ত করে দুই আসামি নূর আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। সমনে হাজির না হওয়ায় সোমবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
কেআই/এমআরএ