ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এই আদেশ দেন।
গত ৩ ডিসেম্বর এই তিনজনকে দুদিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া তিনজন হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান সোহাগ এবং সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।
গত ১১ অক্টোবর দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজার ও আজিমপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত নাজমুল ও সাইফুলকে গ্রেফতার করে ডিবি। এরপর গত ৪ নভেম্বর বংশাল থানাধীন রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে নাজমুল হাসান সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের কোতয়ালী থানায় একই বাদীর অন্য মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ১৫ অক্টোবর সাইফুল ও নাজমুল হুদার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আর ৯ নভেম্বর সোহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। এই মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাকি চার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকী।
তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এর মধ্যে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
কেআই/এইচএডি