ঢাকা: প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজনস) বজলুর রশিদের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর আদালত থেকে জামিন পান ডিআইজি বজলুর রশিদ। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে দুদক তার জামিন বাতিলের আবেদন করে।
অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তিনি কোনো তথ্য গোপন করেননি। তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি। শুনানি শেষে বিচারক জামিন বহাল রাখেন।
গত ২২ অক্টোবর একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর এ আদেশ দেন।
গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি এ আাদালতে বদলির আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ণ হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এই অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর পক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকী তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত বছর ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় আদালতে হাজির তরা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
কেআই/ওএইচ/