ঢাকা: কর্ণফুলী নদীর তীরের বন্দর এলাকার মধ্যে লালদিয়ার চর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে (দুই মাসের মধ্যে) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর ব্যর্থতায় বিবাদীদের আদালতে উপস্থিত হতে হবে।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। অন্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের প্রেক্ষিতে একটি জরিপ প্রতিবেদন দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সেখানে প্রায় ২১শ’ অবৈধ স্থাপনা ছিল। এরপর ২০১৬ সালে দেওয়া একটি রায়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১৬ সালে রায় হলেও আংশিক উচ্ছেদ শেষে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বলা হলো আগের বন্দর চেয়ারম্যান বদলি হয়েছে। আর নতুন চেয়ারম্যান এপ্রিলে যোগ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি সময় চান। এছাড়া ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ১১ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু তারা সেটি পালন করেনি। বন্দরের পক্ষে তাদের আইনজীবী মুরাদ রেজা বলেছেন, করোনার কারণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, আদালত আদেশে বলেছেন, বিবাদীরা আদেশ পালন করেননি যা আনফরচুনেট। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, ডিসি, র্যাব কমান্ডার, সিডিএ চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ সব বিবাদীদের রায় বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সেবা সংস্থাগুলোকেও ওই সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
ইএস/এমজেএফ