ঢাকা: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে কবি, ছড়াকার ও সাবেক শিক্ষক নেতা আবদুল বাসিত মোহাম্মদের (৬৫) মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী।
সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে ঘটনা তদন্ত করে এবং তার পরিবারের অর্থনৈতিক ক্ষতি নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
“প্রাণ গেল কবি ও শিক্ষক নেতা বাসিত মোহাম্মদের” শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার ও সাবেক শিক্ষক নেতা আবদুল বাসিত মোহাম্মদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিতভাবে খুঁড়ে রাখা ড্রেনে পড়ে গিয়ে তার পেটে লোহার রড ঢুকে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে তিনি মারা যান।
সিলেটের সাহিত্যাঙ্গনের সবার প্রিয়মুখ আবদুল বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের খামখেয়ালিপনাকে দায়ী করছেন তার অনুরাগী ও সচেতনমহল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় সিলেট শহরের আম্বরখানার হুরায়রা ম্যানশনের সামনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে কবি আবদুল বাসিত মোহাম্মদের পেটের মধ্যে রড ঢুকে যায়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন এমএজি ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর সকালে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
ইএস/আরবি