সিলেট: সিলেট এমসি কলেজছাত্র অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় আরও আট আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে হাজির হয়ে এ আট আসামি জামিন আবেদন করলে বিচারক শারমিনা সুলতানা নীলা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- আফতাব উদ্দিন (৪২), বশির আহমদ (৪২), ইছমত আলী (৫৫), সুনান (৫০), রাজা মিয়া (৫৫), নুর মিয়া (৬০), আইনুল হক (৫৫), সুরুজ আলী (৫৭)।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আকমল আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জামিন নামঞ্জুর হওয়া আটজন অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার হুমকিদাতা হিসেবে মামলায় অভিযুক্ত। তারা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। এদিন আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এর আগে আরও সাত আসামি এ মামলায় কারাগারে ছিলেন। তাদের মধ্যে আনিসুর রহমান ও মুহিবুর রহমান ব্যতীত সুবহান মিয়া, রফিকুল ইসলাম মড়ল, আব্দুল খালিক, আব্দুর রহিম বাবু, সিরাজুল ইসলাম সিরাই জামিনে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সিলেট এমসি কলেজের বিএসএস প্রথমবর্ষের ছাত্র সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের বড়ফৌদ গ্রামের ফয়জুল হকের ছেলে নজির আহমদ মোজাহিদকে (২৪) অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। বড়ফৌদ পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মক্তবঘর এলাকায় সাজানো সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে প্রতিপক্ষের লোকজন মোজাহিদকে অপহরণের পর সেখান থেকে রাতে গ্রাম পার করে হাওর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর হত্যার জন্য মুহিব, আয়নিছ, খালিক নামে তিনজনের হাতে তুলে দেয়। তারা হাওরের মাঝখান দিয়ে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার জায়গা হাটিয়ে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় চেঙেরখালের শাখা ভাদেশ্বর নদীর তীরে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে ছুরি ও বস্তা ছিল। পরে তাকে নদী তীরে নিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হলে ওই কলেজছাত্র নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনাটি আড়াল করতে ভিকটিমের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন ওই কলেজছাত্রের ভাই বশির আহমদ। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনকে আসামি করা হয়। গত বছরের ৬ অক্টোবর মামলায় সাত আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ মামলায় আদালতে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলা থেকে জামিন নিতে পলাতক আট আসামি এদিন আদালতে হাজির হন। তবে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান আদালতের বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এনইউ/আরবি