ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

৯০ ভরি স্বর্ণ লুট: ড্রাইভারের স্বীকারোক্তি, ২ জন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
৯০ ভরি স্বর্ণ লুট: ড্রাইভারের স্বীকারোক্তি, ২ জন রিমান্ডে এএসআই ইমদাদুল হক ও কনস্টেবল আলমগীর হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত

ঢাকা: ৯০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গাড়িচালক ইব্রাহিম শিকদার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

একই আদালত অপর দুই আসামি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইমদাদুল হক ও কনস্টেবল আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

এদিন দুজনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি করেন।

অপরদিকে, আসামিপক্ষে আইনজীবী সলিমুল্লাহ ও ইব্রাহিম আসামিদের রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, এ আসামিরা টিমে থাকলেও ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানতেন না। ওই টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ তারা পালন করেছেন মাত্র। তাই রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আলমগীর ও ইমদাদের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এ মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক (এডি) এস এম সাকিব হোসেনসহ মোট আটজনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে জীবন পাল ও রতন কুমার সেন গত ১৮ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তাদের জবানবন্দিতে নাম আসায় ১৯ জানুয়ারি এডি এসএম সাকিব হোসেন, সোর্স হারুন ও সিপাহী আমিনুলকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার এ তিনজনকে তিনদিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত।

সবশেষ বুধবার এ মামলায় গ্রেফতার হন ইমদাদুল হক, আলমগীর হোসেন ও ইব্রাহিম শিদার। তাদের মধ্যে ইব্রাহিম শিকদার আদালতে স্বীকারোক্তি দেন এবং আলমগীর ও ইমদাদকে রিমান্ডে পাঠানো হলো।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গ্রেফতার কর্মকর্তা সাকিব হোসেন ও তার দুই সহযোগী সেপাই আমিনুল ও সোর্স হারুন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর জিন্দাবাহার লেনের একটি স্বর্ণের দোকানের মাকিলকে তুলে নিয়ে যান। তারা ওই দোকানের ৯০ ভরি সোনা লুট করেন।

এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় সরকারি দায়িত্ব পালনকালে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়।

অভিযুক্ত মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সাকিবের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়। তিনি ৩৪তম বিসিএস এর নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
কেআই/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।