ঢাকা: চট্টগ্রামের পাচঁলাইশ মডেল থানার এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) তলব করেছেন হাইকোর্ট। এক মামলায় জোর করে এবং প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে না করে মানবপাচার আইনে মামলা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে তাকে তলব করা হয়েছে।
ওই মামলার দুই আসামির জামিন শুনানিতে বিষয়টি নজরে আসায় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৬ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি এসআই কাজী মাছুমের রহমানকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ওই মামলার দুই আসামি হাসিনা ও পলি আক্তারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অশোক কুমার বনিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানার মোহাম্মদপুরে আবেদ মঞ্জিল নামের একটি ভবনে জনৈক হাসিনা ও পলি আক্তার নামে দুই নারী যৌন ব্যবসা শুরু করেন। তারা প্রলোভন দেখিয়ে গার্মেন্টসের নিরীহ নারী শ্রমিকদের এনে যৌনবৃত্তি করাতো। অনকেই জোর করে এ কাজে বাধ্য করতো। বিষয়টি নজরে আসার পর গত বছরের ৭ নভেম্বর পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় পলি আক্তার ও হাসিনাকে।
পরে গ্রেফতার দুইজনের বিরুদ্ধে পাচঁলাইশ মডেল থানায় মানবপাচার আইনে মামলা করেন এসআই কাজী মাছুমের রহমান। কিন্তু আদালত মনে করেন, মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৫ ধারায় করা প্রয়োজন ছিল। তাই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা মাছুমের রহমানকে তলব করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
ইএস/এনটি