চুয়াডাঙ্গা: বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান আইনে সাজাপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান।
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন গয়েশপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন মঈন। ইতালিতে পাঠানোর নাম করে দু দফায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন চেয়ারম্যান মঈন। পরে আলমগীরকে ইতালি না পাঠিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। মঈনকে নানাভাবে অনুরোধ করার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় দামুড়হুদা মডেল থানায় চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ মে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনে মঈন উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন প্রতারিত আলমগীরের ভাই মিজানুর রহমান।
তদন্ত শেষে থানা থেকে চার্জশিট পাঠানোর পর আদালত তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গত ২৪ জানুয়ারি মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
এর দুদিন পর মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সাজাপ্রাপ্ত মঈন উদ্দীন আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। দুপুরেই তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
আরএ