ঢাকা: ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় স্কুলের বাইরে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক আসামি মহিউদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি।
গত ২ ডিসেম্বর আসামি মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় গত ৩ জানুয়ারি সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ক্রোকি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তার আগেই মহিউদ্দিন আত্মসমর্পণ করলেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আব্দুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে মোট ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিন। এছাড়া জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। এ দুজনের মামলা বিচারের জন্য শিশু আদালতে বদলি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে ওয়াসিম, হৃদয় এবং রিয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
আলিফ, মারুফ, সুমন ও আকলিমা এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেনুকে বেধরক পিটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহত তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন একটি হত্যা মামলা করেন।
বালাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
কেআই/এমজেএফ