ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নুর ইসলাম হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২১
নুর ইসলাম হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর: মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলি গ্রামের নুর ইসলাম হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

এসময় সাজাপ্রাপ্ত সাগর এবং হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হিজুলী গ্রামের আইজুদ্দিনের ছেলে সাগর, একই গ্রামের আলী মহালদারের ছেলে মোহাম্মদ হক, নজর উদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের তাহাজ উদ্দিনের ছেলে আলফাজ উদ্দীন এবং হিজুলি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে সোনা হোসেন। এরমধ্যে আসামি আলফাজ উদ্দীন, হামিদুল ইসলাম ও সোনা হোসেন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ২০ মার্চ রাতে হিজুলি গ্রামের নুর ইসলামকে খুন করা হয়। পরদিন সকালে হিজুলি গ্রামের মাঠ থেকে নুর ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নুর ইসলামের স্ত্রী সাকেলা খাতুন বাদী হয়ে সাগর, মোহাম্মদ হক, মোহাম্মদ সোনা, আলফাজ উদ্দিন, হামিদুল ইসলাম, বাবর আলী খালেক নিপু কল উজ্জ্বল রিকা তুল্লা মহিউদ্দিনসহ মোট ১১ জনকে আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে সাগর, মোহাম্মদ হক, মোহাম্মদ সোনা, আলফাজ উদ্দিন, ও হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।  

মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন। এতে আসামি সাগর, মোহাম্মদ হক, মোহাম্মদ সোনা, আলফাজ উদ্দিন, ও হামিদুল ইসলাম দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা আটকের দিন থেকে তাদের সাজা শুরু হবে।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদুল হক এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুল আজম খোকন কৌঁসুলি ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।