ঢাকা: ২০১৯ সালের জুলাইতে নিয়োগ পাওয়া দু’জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ নিয়ে করা রিট মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন।
আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া শুনানিতে ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ছয়জনের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বার কাউন্সিল সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের অগ্রগতি প্রতিবেদন এখনো দেওয়া হয়নি। আজ মামলাটি উক্ত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। শুনানি করার সময় বলা হয়, একজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করছেন। এরপর আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে ড্রপ আউট করে দেন। এখন নিয়ম অনুসারে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি এ মামলা শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।
গত ৭ জুলাই ১০৫ জন আইনজীবীকে এএজি ও ২১ জুলাই ৭০ জন আইনজীবীকে ডিএজি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ এর ৩(৩) নম্বর আর্টিকেল-এর সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন। এ আর্টিকেল অনুযায়ী এএজি নিয়োগ পেতে হলে সুপ্রিম কোর্টে ৫ বছর আইনজীবী হিসেবে পেশায় থাকতে হবে। কিন্তু নিয়োগে আইনের এ শর্ত মানা হয়নি।
একই বছরের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
ওই সময় ফরহাদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, আইন অনুযায়ী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ৬৭ বছর। কিন্তু এ দু’জন যখন নিয়োগ পান তাদের সময় তখন ৬৭ বছরের বেশি ছিল। এছাড়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে আইন পেশায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়, কিন্তু নিয়োগের সময় আল মামুনের অভিজ্ঞতা ছিল চার বছর দুই মাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
ইএস/আরবি