ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

শিশু ধর্ষণ-হত্যা: ২ আসামির খালাসের রায় স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২১
শিশু ধর্ষণ-হত্যা: ২ আসামির খালাসের রায় স্থগিত

ঢাকা: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ফাতেমা আক্তার ইতি (১০) নামে একটি শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দু’জনকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৯ জুলাই) আপিল বিভাগের ভার্চ্যুয়াল চেম্বার জজ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আগামী ১ আগস্ট শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ খারিজ করে গত ৩০ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রায়ে খালাস প্রাপ্তরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলার বুখইতলা গ্রামের মৃত জাহিদ হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান স্বপন ও মোস্তফা জমাদ্দারের ছেলে সুমন জমাদ্দার।

শিশু ফাতেমা জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে। সে একই উপজেলার বুখাইতলা-বান্ধবপাড়ায় নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় হাতেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ওই বিদ্যালয়ের মাঠে যায় ফাতেমা। দুপুরেও ঘরে না ফেরায় স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরদিন দুপুরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে তার উলঙ্গ ও ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তদন্তে দেখা যায়, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার পুলিশ এ ঘটনায় ফাতেমার মামাতো ভাই মেহেদী হাসান স্বপনের সংশ্লিষ্টতা পান। পরে মেহেদী ও তার সহযোগী সুমন জমাদ্দারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সুমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, তিনি ও মেহেদী মেয়েটিকে বাগডাসা দেখানোর লোভ দেখিয়ে বাগানে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় সেজন্য পরে তারা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করেন।

বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া রায়ে দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

পরে নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। গত ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগ ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে আসামিদের খালাস দেন।

এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২১
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।