ঢাকা: স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বগুড়ার কাহালু থানার গোলাম রব্বানীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম আমিনুল ইসলাম।
রায়ে গোলাম রব্বানীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোলাম রব্বানীকে কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর বগুড়ার কাহালু থানার কাহালু গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রীকে সাপে কামড় দিয়েছে-এ কথা বলে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওঝা ক্ষতস্থান দেখে বলেন, এটা সাপের কামড় নয়। এরপর ভিকটিমকে তার বাপের বাড়ি ও পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেবার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ২৯ নভেম্বর কাহালু থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন গোলাম রব্বানী। কিন্তু ভিকটিমের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ও রসায়নিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে কার্বামেট নামক বিষ প্রয়োগে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ অবস্থায় ভিকটিমের ভাই গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে আবেদন দাখিল করেন। আদালত এ আবেদন মামলার এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে থানাকে নির্দেশ দিলে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে এজাহার গ্রহণ করা হয়।
একই বছরের ২৫ জানুয়ারি গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০১০ সালের ২১ জুলাই বিচার শেষে বিচারিক আদালত গোলাম রব্বানীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে গোলাম রব্বানী হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ আপিল খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ গ্রহণ করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন গোলাম রব্বানী।
এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গোলাম রব্বানীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
ইএস/আরবি