ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুল হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মলমপার্টির দুই সদস্যের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আপিল শুনানি শেষে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
দুই আসামি হলেন- মোসারফ হোসেন ও লিটন মল্লিক।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রভাষক দেওয়ান রাহাত করিম মুকুলকে বিমানবন্দর সড়কের (আর্মি স্টেডিয়াম) পাশের এলাকা থেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ওই রাতেই মুকুল মারা যান।
পরদিন পুলিশ গুলশান থানায় মামলা করে। কয়েকদিন পর পুলিশ অটোরিকশার ড্রাইভার আলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোসারফ হাজী নামে একজনকে ওই বছরের ২ অক্টোবর গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত শেষে ওই চারজন এবং লিটক মল্লিক নামের আরেকজনসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০০৯ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এক রায়ে মলমপার্টির সদস্য মোসারফ হোসেন ও লিটন মল্লিককে মৃত্যুদণ্ড এবং মুক্তার হোসেন, জাহাঙ্গীর এবং আলালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে আসামি লিটন মল্লিক পলাতক ছিলেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর আত্মসমর্পণ করে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি।
এদিকে, বিচারিক আদালতের পাঠানো ডেথ রেফারেন্স ও কারাবন্দি আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট চারজনের সাজা বহাল রেখে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রায় দেন। রায়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আলালকে খালাস দেওয়া হয়।
এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোসারফ ও লিটন। এ আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রায় দেন। তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মুক্তার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনের কোনো আবেদন না থাকায় এ বিষয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
ইএস/ওএইচ/