ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মান্নার স্ত্রীর রিট: কপিরাইট আইনের চার ধারা নিয়ে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
মান্নার স্ত্রীর রিট: কপিরাইট আইনের চার ধারা নিয়ে রুল

ঢাকা: কপিরাইটের মেয়াদ ৬০ বছর সংক্রান্ত আইনের চারটি (২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭) ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

প্রয়াত নায়ক মান্নার স্ত্রী শেলী কাদেরের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও আইনজীবী নাজিরুল আলম।

এর আগে গত  ৭ জুন কপিরাইট আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৫) এর ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

২৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে,  ‘অতঃপর ভিন্নরূপ বিধান করা না হইলে, প্রণেতার জীবনকালে প্রকাশিত কোন সাহিত্য, নাট্য, সংগীত বা শিল্পকর্মের (ফটোগ্রাফ ব্যতীত) কপিরাইট তার মৃত্যুর পরবর্তী পঞ্জিকা-বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছর পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে। ’

২৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘(১) প্রণেতার মৃত্যুর তারিখে কপিরাইট বিদ্যমান থাকে এমন সাহিত্য, নাট্য বা সংগীত কর্ম বা খোদাই-কর্ম, বা অনুরূপ কর্মের যৌথ প্রণেতার ক্ষেত্রে, যিনি শেষে মৃত্যুবরণ করেন তার মৃত্যুর তারিখে বা ওই তারিখের আগে কিন্তু যা বা যার অভিযোজন ওই তারিখের আগে হয়নি, সে ক্ষেত্রে, কর্মটির প্রথম প্রকাশের পরবর্তী পঞ্জিকা-বছর শুরু থেকে বা কাজটির কোন অভিযোজন পূর্ববর্তী কোন বছরে প্রকাশিত হলে সেই বছরের পরবর্তী পঞ্জিকা-বছরের শুরু থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকবে। ’

(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণে সাহিত্য, নাটক বা গান বা উক্ত কাজের অভিযোজন প্রকাশ হয়েছে বলে গণ্য হবে যদি ওই কাজের বিষয়ে তৈরি কোন রেকর্ড জনসাধারণের কাছে বিক্রি বা বিক্রির প্রস্তাব করা হয়ে থাকে।

২৬ ধারায় বলা হয়েছে, কোন চলচ্চিত্র ফিল্মের ক্ষেত্রে, যে বছর কাজটি প্রকাশ হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা-বছরের শুরু থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকবে।

২৭ ধরায় বলা হয়েছে, কোন শব্দ রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে, যে বছর রেকর্ডিং প্রকাশ হয়েছে তার পরবর্তী পঞ্জিকা-বছরের শুরু থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কপিরাইট বিদ্যমান থাকবে।

আইনজীবী নাজিরুল আলম জানান, কপিরাইট আইনের ওই চারটি ধারা অনুসারে কোন প্রযোজককে কপিরাইটের লাইসেন্স দেওয়া হলে তা অনেকেই পূর্ণ মেয়াদের জন্য নিয়ে থাকেন। পূর্ণ মেয়াদের সীমা ৬০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু ভারতে এ বিধান উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের দেশে কপিরাইট নিয়ে নানান কাজে কনটেন্ট ব্যবহার করে। কিন্তু মূল ক্রিয়েটর একটা টোকেন মানি ছাড়া কিছুই পায় না। তাই এ আবেদন করেছেন শেলী কাদের।    

বাংলাদেশ সময়:১৭০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫,২০২১

ইএস/এমএমজেড

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।