ঢাকা: হাইকোর্টের নির্দেশে নিজ জিম্মায় থাকার সুযোগ পেলেন যশোরের প্রাপ্তবয়স্ক এক তরুণী। তাকে সেফ হোমে রাখতে যশোরের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছিলেন।
এর বিরুদ্ধে নিজ জিম্মায় থাকতে চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন সেই তরুণী। তার আপিল মঞ্জুর করে তাকে নিজ জিম্মায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) তরুণীর আপিল মঞ্জুর করেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে তরুণীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। তিনি জানান, ওই তরুণীর বাবা থাকেন বিদেশে। তার মা মেয়েকে বিয়ে দিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি হয়নি মেয়েটি। এক পর্যায়ে মেয়েটি ঢাকায় পালিয়ে এসে জানুয়ারিতে একটি বুটিক হাউজে চাকরি নেন। একইসঙ্গে বিয়ে না করলে তারা মা তাকে হত্যা করবেন—এমন অভিযোগ এনে বনানী থানায় জিডি করেন সেই তরুণী।
পরে ২৩ মে ওই তরুণীর মা যশোর আদালতে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলার আবেদন করেন। যেখানে বুটিক হাউজের মালিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
আদালতের আদেশে তরুণীটিকে যশোর আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৪ জুন মায়ের জিম্মায় নেওয়ার আবেদন এবং নিজ জিম্মায় থাকতে তরুণীর করা আবেদন খারিজ করে দেন যশোরের আদালত। পাশাপাশি তাকে সেফ হোমে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে বেকুটিয়া শেল্টার হোমে রয়েছেন তিনি।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন সেই তরুণী। শুনানির সময় ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তার বক্তব্য শোনেন। এরপর মঙ্গলবার তার আবেদন মঞ্জুর করেন। এ আদেশের পর তরুণী এখন নিজ জিম্মায় থাকতে পারবেন বলে জানান আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
ইএস/এমজেএফ