ঢাকা: গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এ আদেশ দেন।
গত ২৯ আগস্ট তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে গত ৩ সেপ্টেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে আইনজীবী শান্তনু ধর ও এস এম সাজেদুল ইসলাম রুবেল জামিন আবেদন করেন।
মঙ্গলবার জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী এসএম সাজেদুল ইসলাম রুবেল বলেন, আসামি নাজমুল আলম রাসেল ঘটনার চার মাস আগে চাকরি ছেড়ে দেন। তার সঙ্গে কর্তৃপক্ষের অনিয়মের বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তার তো মামলার বাদী হওয়ার কথা, ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ আসামি রাসেলের সঙ্গে অন্যায় করেছেন। এ ঘটনায় রাসেল নিজেও একজন ভুক্তভোগী। আবার এ মিথ্যা মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেওয়া হোক।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন এক গ্রাহক। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়া আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় ভুক্তভোগী তাহেরুল ইসলাম প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে অন্য আসামিরা হলেন- আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিক।
গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীরা মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
কেআই/ওএইচ/