মানিকগঞ্জ: গৃহবধূ ও কন্যা সন্তানকে হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জে এক জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে দৌলতপুর উপজেলার পংতিরছা গ্রামের মেয়ে লিপা সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই এলাকার জাকির হোসেনের। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সে সময় তাহমিনা নামে একটি নারীর সঙ্গে পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়েন জাকির। পরক্রিয়া চলার একপর্যায়ে স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় লিপাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন জাকির। সে সময় আড়াই বছরের মেয়ে জ্যোতি দেখে ফেলে। যে কারণে স্ত্রীকে হত্যার নিশ্চিতের পর মেয়ে জ্যোতিকে জাকির (বাবা), তাহমিনা, স্বপন, জাহাঙ্গীর, হাসান, আমীনূর ইসলাম, পারভেজ রানা মিলে হত্যা করেন। এরপর কৌঁসলে তারা ডাকাতির নাটক সাজায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এরপর পরই জাকির গা ডাকা দেন। লিপার স্বজনদের বিষয়টি সন্দেহ হলে ২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি লিপার বাবা আবু হানিফ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তাহমিনাসহ অন্য আসামিদের ওই দিনই পুলিশ গ্রেফতার করে।
২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর জাকিরের অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির উপস্থিতিতে রোববার এ রায় দেন বিচারক।
এ মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রঘুনাথ সরকার ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন হরবিন্দ্র পোদ্দার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
এসআরএস