ঢাকা: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ছয় মাসের মধ্যে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ সচিব ও বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রুলে নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১৪ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদকে আলাদা করে সীমানা নির্ধারণ ও ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে রিট করেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী রফিক উদ্দিন এনায়েত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭৪ সালে বন বিভাগ নোয়াখালীর হাতিয়ার দ্বীপটিতে বনায়ন শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বন আইন অনুযায়ী পুরো নিঝুম দ্বীপকে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করে।
এর মধ্যে ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১১ নম্বর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে। কিন্তু আজ অবধি সংরক্ষিত বনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি।
হুমায়ন কবির বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ না করার কারণে দ্বীপের সংরক্ষিত বনের জমি অবৈধভাবে দখল করছে। এসব বিষয়ে রিট করার পর আদালত রুলসহ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
ইএস/আরবি