ঢাকা: অস্ত্র আইনের মামলার দুটি অভিযোগের রায় ঘোষণা পর স্বাস্থ্যের গাড়িচালক আব্দুল মালেক বলেছেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় একথা বলেন তিনি।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রবিউল আলম বলেন, অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় ১৫ বছর ও ১৯ (এফ) ধারায় তাকে আরো ১৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুটি সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ১৫ বছরের সাজাই ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত।
দুপুর ১২টার দিকে সংক্ষিপ্ত রায়ের পর তার পরিবারের সদস্যরা হইচই ও কান্না শুরু করেন। তারা বলেন, কোথায় সেই হাজার কোটি টাকা! সব মিথ্যা! এসময় আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মালেক বলেন, মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। পরে কড়া পুলিশ প্রহরায় তাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আসামিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোটের ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে আটক করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
কেআই/আরএ