ঢাকা: শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড় এলাকার একটি মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের পর ঢাকার একটি ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ইসলামি বক্তা আব্দুর রহিম বিপ্লবী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এ দিন পল্টন থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আব্দুর রহিমকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম। এ সময় আব্দুর রহিম স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২১ অক্টোবর সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া পূর্বপাড়া (আমিনপাড়া) জামে মসজিদের সামনে থেকে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেন সিআইডি সদস্যরা। তার বিরুদ্ধে এসআই প্রদীপ কুমার দাস পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
আব্দুর রহমান বিপ্লবী ফেনীর পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম সাহেব নগর এলাকার মৃত আব্দুল কালামের ছেলে। তিনি গত ১৫ অক্টোবর জুমার নামাজ শেষে ঢাকার পশ্চিম ধোলাইপাড় এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন।
সিআইডি বলছে, তার ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বাড়িঘরে হামলা হয়। পরে আব্দুর রহিম বিপ্লবীকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
কেআই/এমজেএফ