ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুই সিজনে আলাদা ড্রেস চান আইনজীবীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
দুই সিজনে আলাদা ড্রেস চান আইনজীবীরা

ঢাকা: আইনজীবীদের জন্য শীতকাল এবং গরমকালে আলাদা ড্রেসকোড চেয়ে আপিল বিভাগে মৌখিকভাবে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।

তবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আইনে সুযোগ নেই।

এর জন্য রুলস পরিবর্তন করতে হবে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) আপিল বেঞ্চে এ আবেদন জানানোর পর আদালত অন্য দেশের নজিরসহ লিখিত আবেদন দিতে বলেছেন।

করোনাকালে গতবছর কালো কোট-গাউন পরায় ছাড় দিয়েছিলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর কালো কোট-গাউন পরতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সে অনুসারে রোববার থেকে বিচারক-আইনজীবী ফের কালো কোট-গাউন পরতে শুরু করেছেন।

এদিন সকালে আপিল বিভাগের কার্যক্রমের শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বাংলাদেশর আবহাওয়া এবং সব কিছু মিলিয়ে আইনজীবীদের জন্য একটি সামার (গ্রীষ্মকালীন) এবং একটি উইন্টার (শীতকালীন) ড্রেস নির্ধারণ করার উদ্যোগ যদি আপনারা নিতেন। এটি বিবেচনার জন্য আপনাদের কাছে আমাদের আবেদন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কালো কোট পরি, বিদেশেও কিন্তু কালো কোট নাই। লন্ডনে পড়ে ডার্ক (ধূসর), কালো নয়। অনেক জায়গায় দেখেছি ব্লু পরতে। আমি সেখানে তাদের জিজ্ঞেস করেছি, তারা বলেছেন, কালো নয়, তাদেরটা ধূসর। আর আমরা মানুষ কালো, পরি কালো কোট, দেখা যায় আরও কালো।

একপর্যায়ে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমরা যারা সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিস করি, এখানে এয়ার কন্ডিশন থাকায় আমাদের হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু সারাদেশের আদালতগুলাতে যারা প্র্যাক্টিস করেন, তাদের অনেক কষ্ট হয়। এ ড্রেসটা শীতের জন্য ঠিক আছে। আমরা সাদা শার্ট পরে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এটা আসলে অতটা খারাপ লাগে না। বরং এ ড্রেসটা থাকলে বিভিন্ন আদালতে টাউট বাটপার শনাক্ত করতে সুবিধা হয়।

আরও পড়ুন: আদালতে ফিরছে কালো কোট-গাউন

তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা শুধু আমার একার না। রুলস সংশোধন করতে হবে।

জবাবে রুহুল কুদ্দুস বলেন, আপনি একটা সার্কুলার দিয়ে এটা সংশোধন করতে পারেন।

এ সময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইমান আলী বলেন, শীতকালে এক ড্রেস এবং গরমে আরেক ড্রেস এটা কোনো দেশে কি আছে?

তখন আইনজীবী বলেন, আছে, মাই লর্ড আছে। অনেক দেশেই আছে। কোথায় কোথায় আছে, আমি তার তালিকা দেব।

পরে আদালত বলেন, আপনি এ বিষয়ে একটা আবেদন দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।