ঢাকা: মাদকের পৃথক ৫ মামলায় পাঁচ আসামিকে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড না দিয়ে ব্যতিক্রমী সাজা দিয়েছেন আদালত।
সাজায় ধর্মীয় অনুশাসন মানা ও পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনসহ পাঁচটি কাজ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, পাঁচ মামলায় আজ চার্জ শুনানির জন্য ছিল। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর আদালত আসামিদের প্রচলিত সাজার পরিবর্তে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে এক বছরের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করেন। তারা শর্ত না মানলে তাদের সাজাভোগ করতে হবে।
আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার ১৫ পিস ইয়াবা মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম, লালবাগ থানার ১শ গ্রাম গাজার আসামি রুবেল, মুগদা থানার ১৫ পিস ইয়াবা মামলার আসামি হাসান, চকবাজার থানার ১৫ পিস ইয়াবার মামলার আসামি উমর ফারুক এবং মিরপুর থানার ৫শ গ্রাম গাঁজার আসামি মো. শাহাবুল ইসলাম।
এরই মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও উমর ফারুকের নামে মামলা করা হয় ২০১৯ সালে। অপর তিন আসামির মামলা চলতি বছরের।
আদেশে আদালত বলেন- আসামিদের শাস্তির পরিবর্তে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া সমীচীন মর্মে গণ্য হলো। আসামিদের দেশের একজন সৎ পরিশ্রমী ও আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে এবং একই অপরাধ পুনরাবৃত্তি বা অপরাধী কর্তৃক অন্যান্য অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধ কল্পে ৫ শর্তে প্রবেশন মঞ্জুর করা হলো।
শর্তগুলো- প্রবেশনকালে আসামিরা কোনোরূপ অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবেন না বা একই অপরাধ আর করবে না। ধর্মীয় আচরণবিধি ও অনুশাসন মেনে চলবে। আসামিদের অসৎ ও খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করবে। মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে এবং আগামী ৬ মাস পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন ঢাকা দক্ষিণ/উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবে। অর্থাৎ ৬ মাসে তাদের ২৪ দিন পরিচ্ছন্নকর্মীর কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২১
কেআই/এএটি