ঢাকা: কোনো একটি ঘটনায় মামলার শুরুতেই অতি উৎসাহী না হয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ষণের মামলায় খালাস পাওয়া আসামি সাফাত আহমেদের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তখন আলোচিত ছিল।
এদিকে রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য আমি বলব, এ মামলায় যেভাবে প্রচার হয়েছে চূড়ান্ত রায় হওয়ার আগে এভাবে প্রচার না করাই ভালো ছিল।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত চূড়ান্তভাবে রায় ঘোষণা করেছেন। আসামিদের খালাস দিয়েছেন। অবশ্য আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। পরবর্তীতে যারা প্রসিকিউশন করেছেন, সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে এনেছেন, ২২ জন সাক্ষী হাজির করা হয়। পরেই মেডিক্যাল রিপোর্ট, ডিএনএ রিপোর্ট, ভিকটিমের জবানবন্দি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এজন্য আদালত তাদের খালাস দিয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, যখন কেউ ধর্ষিত হয়। ধর্ষিত হওয়ার পর এমন কিছু উপাদান থাকে (কাপড় চোপড়, ডিএনএ, মেডিক্যাল রিপোর্ট) যা খুব জরুরি। কারণ মেডিক্যাল রিপোর্টটা যদি না থাকে তাহলে সমাজে সবাই মিথ্যা মামলায় নিমজ্জিত হতে পারে। সুতরাং এটা একটি সাইন্টিফিক ফরেনসিক রিপোর্ট। ডাক্তার যদি বলেন হয়েছে তাহলে মেনে নিতেই হবে।
এদিকে খালাসের রায় শোনার পর আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিরা বিচারককে সালাম দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে চিৎকার দিয়ে উঠেন।
আরও পড়ুন:
‘৭২ ঘণ্টা পর যেন ধর্ষণ মামলা না নেওয়া হয়’
রেইনট্রিতে ধর্ষণ: সব আসামি খালাস
রেইন্ট্রিতে ধর্ষণ নয়, স্বেচ্ছায় শয্যাসঙ্গী হয়েছেন দুই তরুণী
আদালতের সময় নষ্ট করায় তদন্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা
‘দুই তরুণী সেক্সুয়াল পারফরমেন্সে অভ্যস্ত ছিল’
‘তদন্তে ব্যর্থতায় দুই তরুণী ন্যায়বিচার বঞ্চিত’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
কেআই/আরবি