ঢাকা: পারিবারিক আদালতে মামলা চালানোর ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে অন্যকে ক্ষমতা/প্রতিনিধিত্ব (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দেওয়া যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিভিশন খারিজ করে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম খালেদ আহমেদ। বিবাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. সাইদুল আলম খান।
পরে সাইদুল আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটের এক আমেরিকা প্রবাসী দম্পতির বিচ্ছেদ হয়। তখন স্ত্রী তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে পারিবারিক আদালতে একটা মামলা করেন। মামলায় সাবেক স্বামীর কাছে দেনমোহর ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবি করেন। ওই মামলায় স্বামী তার পক্ষে মামলা চালাতে এক আত্মীয়কে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন। কিন্তু সিলেটের পারিবারিক আদালত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়ার বিয়টি নাকচ করে দেন।
বিবাদী এ বিষয়ে আপিল করলে সিলেটের জেলা জজ আদালত সেই আপিল খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন করেন। এ রিভিশন আবেদন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানিতে কিছু আইনগত বিষয়ে প্রশ্ন ওঠায় প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য আবেদনটি প্রধান বিচারপতির বরাবরে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতি রিভিশন আবেদনটি শুনানির জন্য তিন বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দেন। বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর এই বেঞ্চ রিভিশন আবেদনটি শুনানির এক পর্যায়ে অভিমত নিতে চারজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিন। তারা হলেন—জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, এ এফ হাসান আরিফ, কামাল উল আলম ও প্রবীর নিয়োগী। তারা আদালতে তাদের অভিমত দেন।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার ওই স্বামীর করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দেন বৃহত্তর বেঞ্চ। ফলে পারিবারিক আদালতে মামলা চালানোর ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে অন্যকে ক্ষমতা/প্রতিনিধিত্ব (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দেওয়া চলবে না বলে জানান আইনজীবী সাইদুল আলম খান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
ইএস/এমজেএফ