ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আইন কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে রুল শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
আইন কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে রুল শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট

ঢাকা: ২০১৯ সালের জুলাইতে নিয়োগ পাওয়া দুইজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ নিয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন ঠিক করেন।

আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া শুনানিতে ছিলেন। বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কফিল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি ছিলেন বিপুল বাগমার।

তিনি জানান, ছয় আইন কর্মকর্তাদের বিষয়ে বার কাউন্সিল তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। কারণ গেজেটে ছয় জনের শুধু নাম আছে। কিন্ত ঠিকানা নেই।  এরপর আদালত রুল শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন।  

২০১৯ সালের ৭ জুলাই ১০৫ জন আইনজীবীকে এএজি ও ২১ জুলাই ৭০ জন আইনজীবীকে ডিএজি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।  

তিনি জানান, বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ এর ৩ (৩) নম্বর আর্টিকেলের সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন। এ আর্টিকেল অনুযায়ী এএজি নিয়োগ পেতে হলে সুপ্রিম কোর্টে ৫ বছর আইনজীবী হিসেবে পেশায় থাকতে হবে। কিন্তু নিয়োগে আইনের এ শর্ত মানা হয়নি।

একই বছরে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

ওই সময় ফরহাদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, আইনানুযায়ী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ৬৭ বছর। কিন্তু এ দুইজন যখন নিয়োগ পান তাদের সময় তখন ৬৭ বছরের বেশি ছিল। এছাড়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে আইন পেশায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়, কিন্তু নিয়োগের সময় আল মামুনের অভিজ্ঞতা ছিল চার বছর দুই মাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।