ঢাকা: ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলয়া অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার মামলায় সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।
গত ২৩ নভেম্বর এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
একই বছর ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাতে সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ওই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন এবং আল কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র ইসলামি বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এছাড়া এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সেফুদার বিচার শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
কেআই/এমজেএফ