বান্দরবান: বান্দরবান আদালতে প্রথমবারের মতো এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নুশৈমং মার্মা নামে এক স্কুলশিক্ষককে গুলি করে হত্যার দায়ে হ্লাসিং মং মারমা নামে এক আসামিকে এ দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে বান্দরবান জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু হানিফ এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হ্লাসিং রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের বাসিন্দা ক্যঅং প্রু মারমার ছেলে।
বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুল হাসান জানান, বান্দরবান আদালতে খুনের অপরাধে সাজা হিসেবে এবারই প্রথম কোনো আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের উজানী পাড়ায় নিজ বাড়ির কাছাকাছি একটি জুম ক্ষেতে নুশৈমং মারমার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। নুশৈমং মারমা পাইন্দু ইউনিয়নের বাসিন্দা ক্যঅং প্রু মারমার ছেলে। এ ব্যাপারে ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই নুশৈর বড় ভাই মংরে অং মারমা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে রুমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই দিন পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে এবং মংসাইহ্লা মারমা, হ্লাসিংমং মার্মা ও ক্যংঅংপ্রু মার্মাকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে হ্লাসিংমং মারমা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, নুশৈমং মার্মাকে তিনিই গুলি ও মারধর করে হত্যা করেছেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এদিকে অপর তিন আসামির মধ্যে মংসাইহ্লা মারমা অন্য ঘটনায় নিহত হওয়ায় এবং শিক্ষক হত্যায় মংবাসিং মারমা ও ক্যঅংপ্রু মারমার সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মো. কামরুল হাসান জানান, তথ্য প্রমাণ ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় হ্লাসিংমং মারমাকে এ দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তপন দাশ। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কৌশিক দত্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
এসআই