ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ছাদে যাত্রী ওঠা-টিকিট কলোবাজারি বন্ধে রেলওয়ের মনিটরিং সেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
ছাদে যাত্রী ওঠা-টিকিট কলোবাজারি বন্ধে রেলওয়ের মনিটরিং সেল

ঢাকা: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ও ছাদে যাত্রী বহন বন্ধে মনিটরিং সেল গঠন করেছে রেলওয়ে।  

রোববার (৭ আগস্ট) রেলওয়ের পক্ষে এ বিষয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন উপস্থান করা হয়।

 

এরপর আদালত আগামী বুধবার পরবর্তী আদেশের দিন ঠিক করেছেন।  

আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।  

রেলওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব ও পশ্চিম) থেকে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ট্রেনের ছাদে যাত্রী না ওঠার বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।

টিকিটের বিষয়ে বলা হয়, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব ও পশ্চিম) থেকে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে মনিটরিং অব্যাহত আছে।

এছাড়া টিকিটবিহীন ব্যক্তি স্টেশনে প্রবেশ রোধকল্পে বিভিন্ন স্টেশনে ফেন্সিং নির্মাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৫০টি স্টেশনে জরুরি ভিত্তিতে ফেন্সিং ব্যবস্থা কার্যকরের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধে ছয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির বিষয়টি নজরে নেওয়ার পর গত ২১ জুলাই হাইকোর্ট প্রতিবেদন চেয়েছিলেন।  

ওইদিন হাইকোর্ট ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন বন্ধ করতে বলেছেন। যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।  

এরপর গত ৩১ জুলাই রেলওয়ে প্রতিবেদন দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় চান। আদালত ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।  

সে অনুযায়ী রোববার প্রতিবেদন দাখিল করে রেলওয়ে।

রেলওয়ের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী।  

তার ৬ দফা দাবিগুলো হলো- সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট, টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো। একইসঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন।

তবে গত ২৫ জুলাই রাতে রেলভবনে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন রনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।