ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আদালতে আরও ২ আসামির জবানবন্দি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আদালতে আরও ২ আসামির জবানবন্দি ঈগল পরিবহনের সেই বাস

টাঙ্গাইল: কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আরও দুই আসামি বুধবার (১০ আগস্ট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম বিকেলে তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

এ দুই আসামি হলেন-ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার গোইলবাড়ি গ্রামের জামিল হোসেনের ছেলে বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১) এবং জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শামছুল মণ্ডলের ছেলে মো. সোহাগ (১৯)।  

তাদের মধ্যে সোহাগ গাজীপুরের কাশিমপুরে বসবাস করতেন।  

গত রোববার রাতে এ দু’জনসহ ১০ জনকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাট্যালিয়ন (র‌্যাব) আটক করে। সোমবার তাদের টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।  

ডিবি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জুলহাস ও সোহাগসহ ছয়জনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনই এ দু’জন ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তারা আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। পরে তাদের জবানবন্দি নেন আদালত।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উভয়েই আদালতে জবানবন্দিতে ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়েছেন।

এর আগে র‌্যাবের কাছে আটক ছয়জনের মধ্যে আসলাম তালুকদার (১৯), রাসেল তালুকদার (২৫), নাইম সরকার (১৯) ও আলাউদ্দিন (২৪) মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গত শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রাজা মিয়া, মো. আওয়াল ও নুরনবী। এ নিয়ে এ মামলার নয়জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ পৌঁছুলে যাত্রীবেশী ডাকাতরা গাড়িতে ওঠেন। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর তারা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে যাত্রীদের টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন, গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেন। এসময় বাসের এক নারী যাত্রী সংঘ ধর্ষণের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য বাসচালক রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মো. আওয়াল ও নুরনবীকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।