ঢাকা: রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং (অর্থপাচার) মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশোষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম ভুইয়া এই আদেশ দেন।
বিচার শুরু হওয়া অপর চার আসামি হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।
গত ৩১ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
একই সঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য এই আদালতে বদলির আদেশ দেন৷
২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করা হয়। এরপর ২০২০ সালের ২১ মার্চ গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলাটি করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।
গত বছর ২৭ ডিসেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।
চার্জশিটে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরে খরচ করেন। এর মধ্যে তিন কোটি টাকার বেশি হোটেল ভাড়াই দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
কেআই/এএটি