ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ও পরামর্শে হত্যা করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বার কাউন্সিলের ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন
বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান বাদল, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান রবিউল আলম বুদু, কমপ্লেইন অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল প্রমুখ।
বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাঙালীরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না, পেতাম না আমাদের নিজেদের মানচিত্র। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে বুক ফুলিয়ে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াই, লাল সবুজের পতাকা নিয়ে দাঁড়াই, সেটা পেতাম না। যার জন্য আমরা এতকিছু পেয়েছি, সেই মানুষটিকে নির্মমভাবে সপরিবাওে হত্যা করা হয়েছে। তার জন্য আজকে আমরা শোক সভায় মিলিত হয়েছি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এবং তাদের পরামর্শে হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে।
ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হলেও এদেশের যারা হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের বিচার হয়নি। কয়েকজন খুনি এখনো বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। এখানেও ষড়যন্ত্র রয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারীদেও চিহ্নিত করে নতুন প্রজন্মকে একটি মেসেজ দিতে হবে, যে এদেশে ষড়যন্ত্র করে পার পাওয়া যায় না। বিচার হবেই।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
ইএস/এএটি