ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রাবি শিক্ষক হত্যায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত ২ জনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
রাবি শিক্ষক হত্যায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত ২ জনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট 

ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলীকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো.রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো.আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন খারিজ করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।

পরে ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি রিপন ও সাত্তারের জামিন দেননি হাইকোর্ট।

২০১৮ সালের ৮ মে এ মামলায় রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ জনের যাবজ্জীবনের রায় দেন।  

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শরিফুল ইসলাম (পলাতক) ও মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব।  

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী।  

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে আসামিরা আপিল করেন। আপিল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় সাত্তার ও রিপন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। এ ঘটনায় তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষক হত্যায় ২ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন

অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। এছাড়া অধ্যাপক রেজাউল করিম ভালো সেতার বাদক ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করছিলেন।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রায় সাত মাস তদন্তের পর ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আট জনকে আসামি করে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রেজাউস সাদিক আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

ড. রেজাউল করিম হত্যা মামলার অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান এরইমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮,২০২২
ইএস/ইআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।