ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
মেহেরপুরে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাহাজেল ও তৌহিদুল হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের খেদের আলীর ছেলে বাদল হোসেন, ছহির উদ্দীন চৌকিদারের ছেলে আলামিন হোসেন ও হাসেম আলী। তবে আদালতে বাদল হোসেন ছাড়া সবাই অনুপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে বেখসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত একদল সন্ত্রাসী নওপাড়া গ্রামের বাহাজেল আলীর বাড়িতে হানা দেয়। এসময় বাহাজেল আলী ও তার আত্মীয় সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তৌহিদ গল্প করছিলেন। সন্ত্রাসীদের দেখে তৌহিদ দৌড়ে ঘরের ভেতরে পালিয়ে যান। সন্ত্রাসীরা তৌহিদকে ধরে আনার জন্য ঘরের দিকে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেন বাহাজেল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাহাজেলকে রামদা দিয়ে কানের ওপর কোপ দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে সন্ত্রাসীরা তৌহিদকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে ভারতীয় ধলা সীমান্তে নিয়ে যান। সেখানে তাকে গুলি ও গলাকেটে হত্যা করে ভারতীয় তার কাটার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। পরের দিন সকালে ভারতীয় তারকাটা থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ।

এছাড়া বাহাজেলকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় তৌহিদুলের ভাই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার গাংনী থানার মামলা নম্বর ৩।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ০৮/০৫/২০০৫ ইং তারিখে গাংনী থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক (এসআই) মেজবাহ উদ্দীন ও আনোয়ার আলম আযাদ ১৩ জনের নামে চার্জশিট দেন। মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী শহিদুল হক ও আসামিপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম, খন্দকার আব্দুল মতিন ও কামরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।