লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে খেলতে গিয়ে আখ ক্ষেতে ঢোকার অপরাধে ৪ শিশুকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আমলী আদালতের বিচারক ভিকটোরিয়া চাকমা তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন মো. মুসলিম, মামুন হোসেন, সাহাব উদ্দিন মিঝি। তারা রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরমোহনা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট ভুক্তভোগী শিশুদের মধ্যে তানজীদ আহমেদের মামা মিজানুর রহমান সবুজ বাদী হয়ে আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
ওইদিন আদালতের বিচারক আবু ইউছুফ অভিযোগটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাটি এফআইআরভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিন থানায় মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়।
বাদীর আইনজীবী আবদুর রহিম রাজু বলেন, মামলার দেড় মাস পর অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। তারা শিশুদেরকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এতে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আহত শিশুরা হলেন, রায়পুরের দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের দক্ষিণ উদমারা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (১০), তোফায়েল আহম্মেদের ছেলে তানজীদ আহমেদ (৮), মো. আজাদের ছেলে মো. শামিম (১১) ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামিম আহমেদ (৯)।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, ৩১ জুলাই দুপুরে ভিকটিম চার শিশু ডাকাতিয়া নদীর পাশে খেলাধুলা ও গোসল করতে যায়। এসময় তারা খেলতে গিয়ে অভিযুক্তদের আখক্ষেতে ঢোকে। এতে অভিযুক্তরা তাদেরকে ক্ষেতে মারধর করে। একপর্যায়ে ক্ষেত থেকে বের করে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তারা শিশুদেরকে রক্তাক্ত জখম করে। এতে শামীম হোসেনের কানে রক্তাক্ত জখম ও কানের পর্দা ফেটে যায়। তানজীদকে লাঠি দিয়ে পিটুনির পর গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে তাদেরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে অভিযুক্তরা। শিশুদের চিৎকারে স্বজনরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
এএটি