ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জিকে শামীমের অস্ত্র মামলার রায় দুপুরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
জিকে শামীমের অস্ত্র মামলার রায় দুপুরে আদালতে জিকে শামীম।

ঢাকা: কথিত যুবলীগ নেতা ও বিতর্কিত ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর অস্ত্র মামলায় রায় হবে আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর)। এদিন দুপুর ১টার দিকে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

 

এটি জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলার প্রথম কোনো রায়।

এই মামলায় আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।  

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা জিকে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়েছি। আমরা আশা করছি আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ সাজাই হবে।

গত ২৮ আগস্ট এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

জিকে শামীম ছাড়া এই মামলার অপর আসামিরা হলেন, তার সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচারকালে মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে মোট আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। এরপর আত্মপক্ষ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এবার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।  

এই মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক চন্দ্র শেখর মল্লিক।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছে মর্মে আসামি আমিনুল ইসলাম কাগজপত্র দেখালেও তা যাচাইয়ের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই তার অস্ত্রটি অবৈধ। তিনি ওই অবৈধ অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এস. এম. বিল্ডার্স কোম্পানিতে যোগ দেন। পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জিকে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগ দিয়ে কাজ করে আসছিলেন।

তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় কিনে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেন। তাই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(ক)/২১/২৩ ধারার অভিযোগসহ প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৮ ধারার অভিযোগ এনে পৃথক একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এছাড়া অন্য আসামিরা নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(ঙ)/২১/২৩ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর,  নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
কেআই/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।