ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পাবনায় বন্ধুকে হত্যার দায়ে ইউপি সদস্যসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
পাবনায় বন্ধুকে হত্যার দায়ে ইউপি সদস্যসহ তিনজনের যাবজ্জীবন আসামিরা।

পাবনা: পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় মনিরুল খাঁ (২৭) নামে এক ভ্যান চালককে হত্যার দায়ে এক ইউপি সদস্যসহ তিন বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ১১ বছর পর সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক, আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান ও সৈয়দ আলী রেজা পারভেজ।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের লিয়াকত হোসেনের ছেলে শাহীন আহমেদ, ছোট গোলকাটা গ্রামের মুন্নাফের ছেলে মো. আজম, কেনাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের জয়নুল সরদারের ছেলে মুকুল সরদার। আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মুকুল সরদার পুঙ্গুলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

মামলার এজাহার ও চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মনিরুল ২০১৩ সালের ২১ জুন বিকেল থেকে নিখোঁজ হন, পরের দিন ২২ জুন বিকেলে কেনাই মাঠের ফসলি জমি থেকে মনিরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ফরিদপুর থানায় নিহতের বাবা ইসাহাক আলী খাঁ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে উঠে আসে ভিকটিম মনিরুল ও আসামিরা পরস্পর বন্ধু। কেনাই মাঠে তাদের মধ্যে জুয়া খেলার পর মনিরুল জিতে যায়। এ সময় সেই টাকা নিয়ে অপর তিনজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মনিরুলকে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ ফসলের মাঠে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ তদন্তের শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি প্রমাণিত হয়েছে, ফলে আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, মামলার অভিযোগে নাম না থাকলেও পরে চার্জশিটে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো আশা করি সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।