ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শুভ্র হত্যা: ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
শুভ্র হত্যা: ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন মাসুদুর রহমান শুভ্র

ঢাকা: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।

 

এছাড়া গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, তার দুই ভাইসহ নয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন- উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, ছাত্রদলকর্মী মাঈন উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, রুহুল আমিন। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদ- করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- মাসুদ পারভেজ ওরফে কার্জন, শরীয়ত উল্লাহ ওরফে সুমন ও রাসেল মিয়া। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।

খালাসপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- পৌরমেয়রের দুই ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, শাহজাহান মিয়া, কামাল মিয়া, রিফাত, হানিফ ওরফে আবু হানিফা, জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান।

রায় ঘোষণার আগে ১৯ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর মধ্যবাজার পান মহালে রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করেন। নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামিদের পক্ষে ৯ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউর মাহবুবুর রহমান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ফারক আহাম্মদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২/আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা,
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।