ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাথা বিচ্ছিন্ন করে লাশে আগুন: আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
মাথা বিচ্ছিন্ন করে লাশে আগুন: আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল হাইকোর্ট

ঢাকা: ২০১১ সালে সিলেটে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সোহেল আহমদকে (২৪) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে অপর আসামির মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজা আল ফারুক ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

রায়ে সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওরের কাজল মিয়ার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ইসলাম উদ্দিন ওরফে ইসলামকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ইসলাম উদ্দিনের এক বোনকে বিয়ে করেছিলেন সিলেট নগরের গোটাটিকর এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ। ইসলাম এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এ ক্ষোভ থেকে ইসলাম তার বন্ধু কাজলকে নিয়ে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে সোহেলকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বানাগাঁও এলাকার দালুয়ারবন্দ হাওরে নিয়ে যান।

সেখানে ইসলাম ও কাজল মিলে সোহেলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করেন। মস্তকটি অন্য একটি জায়গায় ফেলে দিয়ে লাশ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। পরদিন পুলিশ সোহেলের মস্তকটি হাওর এলাকা থেকে উদ্ধার করে। পরে সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলা করলে পুলিশ ইসলাম ও কাজলকে গ্রেফতার করে।

দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, ইসলাম তার বোনকে বন্ধু কাজলের কাছে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এ চাওয়া পূরণ না হওয়ায় দুইজন মিলে সোহেলকে হত্যা করেন।  

তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন আদালতে ইসলাম ও কাজলসহ নয়জনকে অন্তভুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।  

বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভুঞা দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।  

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন- সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওরের কাজল মিয়া ও ইসলাম উদ্দিন ওরফে ইসলাম।  

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।  

৪ অক্টোবর এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষ হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।