ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্কুলছাত্র মেহেদী হত্যা: রায় পিছিয়ে ২ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
স্কুলছাত্র মেহেদী হত্যা: রায় পিছিয়ে ২ নভেম্বর

ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী এলাকায় মেহেদী হাসান (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে ২ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।  

রোববার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার রায়ের নতুন এদিন ধার্য করেন।

গত ১১ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। তবে আজ রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক নতুন এ দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ফারুকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এ মামলার আসামিরা হলেন- ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, শাহিনুর বেগম, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, নান্নু মিয়া, ইমরান ও রাশিদ।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ওই এলাকার নান্নু ও শাহিনুর মাদক ব্যবসা করতেন। ঘটনার আগে স্থানীয় লোকজনসহ তিনি মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন। সে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওলি মোশারফের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান। তার ভাগনে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানায়।

খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মোশারফ দেখতে পান ও মেহেদী অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা মোশারফ হোসেন ওই বছরের ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।