খিদে পাচ্ছে না, কিছু খেতে ইচ্ছে করে না বা খাবারে রুচি নেই। জীবনে একবারও অরুচিতে ভুগেননি, এমন মানুষ কমই আছে।
কয়েক বেলা খাবার খান: আমরা সাধারণত তিন বেলা ভারি খাবার খাই। কিন্তু যাদের অরুচি আছে, তারা তিন বেলার প্রধান খাবারকে পাঁচ বা ছয়টি ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন।
খাবারে আরও ক্যালরি যোগ করুন: খাবারে স্বাদ আনতে ও অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করুন। যেমন মাখন দিয়ে ডিম রান্না করতে পারেন, পানির পরিবর্তে দুধ দিয়ে ওটমিল রান্না করতে পারেন, সালাদে জলপাই তেল এবং অ্যাভোকাডো যোগ করতে পারেন ইত্যাদি।
সকালের নাশতা এড়িয়ে যাবেন না: প্রতিদিনের নাশতা খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাতরাশ বাদ দিলে সারা দিন কম খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। সকালের নাশতা খেলে হজমশক্তি এবং থার্মোজেনেসিস (দেহে তাপ উৎপাদন প্রক্রিয়া) বাড়ে, যা আপনাকে আরও বেশি খেতে অনুপ্রাণিত করে। সুতরাং সকালের নাশতা সময়মতো খেয়ে নিন।
কম আঁশযুক্ত খাবার খান: উচ্চ আঁশ বা ফাইবারযুক্ত খাবারগুলোকে যদিও সুষম খাদ্য বলে তবুও এসব খাবার হজমশক্তিকে ধীর করে দিতে পারে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্তিবোধসম্পন্ন রাখতে পারে। এজন্য যাদের রুচি কম তাদের কম কম আঁশযুক্ত খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিছু ভেষজ ও খনিজ: কিছু ভেষজ, মসলা বা ফল খাবারকে আরও আকর্ষণীয় করে, হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা কমিয়ে ক্ষুধা বাড়ায়। এজন্য খেতে পারেন মৌরি, হরিতকি, পুদিনা, কালো মরিচ, ধনে, আদা, দারুচিনি, আমলকি, মাল্টা, লেবু ইত্যাদি।
আবার কিছু ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। এগুলো পূরণ করতে খেতে পারেন জিংক, থায়ামিন, মাছের তেল ইত্যাদি।
কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম করুন: শারীরিক ক্রিয়াকলাপ আপনাকে আরও ক্যালরি পোড়াতে, বিপাকীয় হার এবং হরমোন উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষুধাকে উদ্দীপিত করতে পারে। এজন্য অলস বসে না থেকে ব্যায়াম করুন বা কায়িক শ্রম দিন। দেখবেন ক্ষুধা বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এএটি