দেহের বাড়তি মেদ কমাতে অনেকেই জিমে যেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু বন্ধুদের মুখে শুনে কিংবা ইউটিউব ভিডিও দেখে পেটের মেদ ঝরাতে ‘প্লাঙ্ক’ ব্যায়ামটির ভূমিকা সম্পর্কে জেনেছেন।
প্রথমে ম্যাট পেতে তার ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন। এবার হাত ও পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে যে গোটা দেহ তুলে ধরতে হয়, সে কথা জানেন। কিন্তু কঠিন হল, এই প্লাঙ্ক পজিশন করতে গিয়ে বার বার কনুই ভেঙে মাটিতে পড়ে যান। কারণ, পুরো শরীরের ভার শুধু হাত ও পায়ের কয়েকটি আঙুলের ওপর রাখা খুব একটা সহজ নয়। দেহের ওজনের ব্যালেন্স ধরে রাখাও কঠিন। কিন্তু কতক্ষণ ধরে এই প্লাঙ্ক পজিশন করতে হয়, তা জানেন না অনেকেই।
একেবারে শুরুর দিকে প্রশিক্ষকেরা ৩০ সেকেন্ড সময় ধরে প্লাঙ্ক করতে বলেন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখা যায়। তবে প্লাঙ্ক পোজ ধরে রাখার সময় বাড়ছে মানেই পেটের মেদ ঝরছে, এমনটা ভেবে নেওয়া কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। তার জন্য দেহের ভঙ্গি বা পজিশন সঠিক হওয়া প্রয়োজন।
প্লাঙ্ক করার সময় ঠিক কী কী বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন?
১) বেশি সময় ধরে প্লাঙ্ক করলেই যে তা খুব কাজে লাগবে, এমন নয়। যেকোনো ব্যায়াম করার প্রথম শর্ত হল, তা সঠিক ভঙ্গি মেনে করা। শুরুর দিকে ২০ বা ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত প্লাঙ্ক পোজ ধরে রাখতে পারলেই হবে।
২) প্লাঙ্ক অভ্যাস করে পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে আগে সময় নয়, ধরে ধরে দেহের প্রতিটি অঙ্গকে কাজে লাগাতে হবে। কোমর, নিতম্বের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে রাখতে হয় কাঁধ, পিঠ এবং হাত বা কনুই। ভঙ্গিতে যেন কোনো ভাবেই ভুল না হয়। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৩) বেশ কয়েক দিন সাধারণ প্লাঙ্ক করে অভ্যস্ত হয়ে গেলে সাইড প্লাঙ্ক, রিভার্স প্লাঙ্ক কিংবা অন্যান্য পজিশন করে দেখতে পারেন।
৪) যেকোনো ব্যায়ামের ক্ষেত্রেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি। না হলে তার কোনো প্রভাব শরীরে পড়বে না। প্রথম দিকে প্লাঙ্ক করার সময়ে গা, হাত, পায়ে খুব ব্যথা হয়। তাই বলে প্লাঙ্ক করার অভ্যাস বন্ধ রাখা যাবে না। রোজ না হলেও সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এই ব্যায়াম করতে হবে।
৫) শারীরিক কসরত করা ভালো। তবে শরীরের ওপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া মোটেই ভাল নয়। তাই শরীরচর্চা করলেও শরীর ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে চেষ্টা করুন। সবাই কঠিন শরীরচর্চার ধকল সহ্য করতে পারে না। তাই হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এসআইএ