আমরা ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করার জন্য কত কিছুই না করি। অনেকে তো নিয়মিত পার্লারে যাই।
খরচও করি হিসেব ছাড়া। অথচ এমন অনেক ঘরোয়া পদ্ধতিই আছে, যেগুলো ব্যবহার করে পার্লারে না গিয়ে কিংবা দামি প্রসাধনী ব্যবহার না করেও রূপচর্চা করা যায়।
ভাত রান্নার পর ফ্যান বা মাড় ফেলে দেওয়া হয়। আমরা জানি না যে, রূপচর্চায় এই মাড় কিন্তু অনেক উপকারী।
কীভাবে ব্যবহার করবেন আসুন জেনে নেই-
৪ চামচ ভাতের মাড়, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল, রিঠার জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। সারা দিনে দু-তিন বার এটি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি খুব ভালো ফেসওয়াশের কাজ করে।
দুচামচ ভাতের মাড়ের সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পরে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্ন নিতেও ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন। মাড়ের মধ্যে একটি গোটা লেবুর রস মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মালিশ করুন। বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষতা দূর করতে এই উপায় মেনে চলতে পারেন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যার মোকাবিলায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
ঘরোয়া উপায়ে চুল রং করতে চান? এ ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়। ভাতের মাড়ের সঙ্গে খানিকটা কফির গুঁড়া মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এবার সেই প্যাক চুলে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক পর চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলে হালকা বাদামি রং আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসআইএস